সহযোগিতার হাত 🥶🌚🥵
করোনাকালীন সময় কখনোই ভুলার মত না, বাচি না মরি কোন নিশ্চয়তা ছিলনা, ☹️। কখন, কাকে, হারাই এই ভয় নিয়ে চলতে হতো 😢। ব্যবসায় লস, চাকরির নিশ্চয়তা নেই, হিমশিম খেয়েছে অনেক পরিবার। যাদের ইনকাম সোর্স ছিল শুধুমাত্র বাসা ভাড়া ক্রমে ক্রমে সেই বাসা গুলো ও খালি হয়ে গেছে,🥺। শহরের লোক নেই, রিক্সা, বাসে উঠবে কে? ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু খাওয়ার মুখগুলোর ক্ষুধা তো চলে যায়নি,🥺। যার চাকরি চলে গেছে হঠাৎ করে সে তো আর সিএনজি চালাতে পারেনা 😥। ধনী-গরিব সবাই খুব বিপাকেই ছিল এই পরিস্থিতিতে।
এই শত হতাশা আর দুঃখের মাঝখানে এক শ্রেণীর লোক যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে নিয়েছে,🥶। কে আর ছাত্র ছাত্রীরা,🤣। অনলাইন এক্সামে গুগোল করে সব লিখে দিচ্ছে 🤷♂️, অবশ্য দিচ্ছে বলাটা অন্যায় হবে কারন আমি নিজেও ওদেরই একজন,😛। কিন্তু সময়ের সাথে আমাদের শিক্ষকেরা নিজেদেরকে এক ধাপ বেশি সচেতন করে নিয়েছেন 🙃।শুরু হলো একেকজনের একেক সেট, অটো টাইমার, সময়ের মারপ্যাঁচে গুগোল করে উত্তর খোজা মুশকিল। বন্ধু সাহায্য কি করবে, তার নিজেরই চোখে-মুখে দুশ্চিন্তা 🤷♂️। পড়ালেখা ছাড়া বোধহয় আর রক্ষে নেই। শিক্ষকদের এই উন্নয়নের ধাপ বাড়তে বাড়তে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার করোনা আমাদেরও পেয়ে বসেছে, বিশেষ করে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।
আমার জীবনের নীতিমালা খুবই সহজ। হয়তো পড়তে হবে, না হয় চুরিবিদ্যায় এক্সপার্ট হতে হবে 🤣। এখন যদি দুইটাই গোল্লায় থাকে, তাকে আমি বলবো গোবর গণেশ,🙂। জীবনে শুধু শুধু হতাশাকে নিমন্ত্রণ করার ব্যাপারে আমি খুবই বিচক্ষণ।
কম্পিউটার সাইন্সে পড়ি, যদি অনলাইন এক্সাম আমাকে আর পাঁচ-দশটা ছাত্র-ছাত্রীর মত দিতে হয় 😬, লাভ কি বাবা মার সাথে ঝগড়া করে পছন্দের বিষয়ে ব্যাচেলার ডিগ্রি অর্জন করার। ছোটবেলা থেকেই ডিজিটাল জিনিসের প্রতি একটা অফুরন্ত নেশা কাজ করে আমার। যেন সবকিছু জানতে হবে আমার না হলে অস্থির মনকে কাবু করা খুবই কষ্টসাধ্য।
অনলাইন এক্সামে সময়টাকে কাবু করা শিখে গেছি। ধরেন পরীক্ষার সময়ের ছক ছয়টা থেকে দশটা, যার মধ্যে আমি ব্যবহার করতে পারব একঘন্টা। দিনশেষে তো সবই কোড 🥶, কিছুটা গবেষণা করে বের করে ফেলেছি কিভাবে পুরো সময়টাই পরীক্ষা দেওয়া যায়। সবই ঠিক আছে কিন্তু শর্ত একটা 😬, এক ঘন্টা পার হওয়ার পরে ভুলেও ওই ট্যাব রিফ্রেশ করা যাবে না, কেটে দেওয়া তো বিলাশিতা, 😛।
ঐদিন একটা কুইজ ছিল। যে তার জ্ঞান সব এইদিকে খরচ করতেছে পড়ালেখার জন্য আর তার আর সময় কই 😛🌚। পরীক্ষা শুরু হয়েছে সন্ধ্যা ছয়টায়। কমপ্লিট করতে হবে এক ঘণ্টার মধ্যে ⏳, বিশাল বড় বড় অংক কষে ওদের সঠিক মান ছোট ছোট বক্সে আবদ্ধ করতে হবে। এমন ভাবে সেট করা দম ফালানোর সময় নেই 🥶। পরীক্ষা শুরু করার শেষ সময় রাত দশটা যেহেতু রাত এগারোটায় স্লট বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সময় যখন আমার কাছে কাবু ঠিক ছয়টায় আমি পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছি 😛। কোথাও খুঁজে উত্তর পাচ্ছিনা 😢, অবশ্য যেভাবে বুঝতেছেন এতটাও উদ্বিগ্ন আমি ছিলাম না 😛🤣। কারণ আমি জানতাম অন্যরা ওদের গুলো উত্তর দিয়ে আমরা কোন প্রসেস ফলো করে সমাধান করব সে রাস্তা দেখিয়ে দিবে। সমস্যাটা শুধু সময়ের কিন্তু এ সময় যখন আমার জন্য অপেক্ষা করতে বাধ্য দুশ্চিন্তার কোন প্রশ্নই ওঠে না। সাতটা বেজে গেছে উত্তর দিয়েছি ত্রিশের মধ্যে দুই। ব্যাপারনা প্রচুর সময়। আরো মিনিট ত্রিশেক পরে সমাধান খোঁজার প্রসেসর দেখা মেলতে শুরু করলো।
আমার বন্ধু রাফি। মানুষ হিসাবে খুব ভালো, অপরিচিত মানুষকে সাহায্য করতে দ্বিতীয়বার তার চিন্তা করতে হয় না, 💕। আর সাহায্য যখন লাগবে নিজের বন্ধুর জিজ্ঞেস করার আগেই সে চলে আসবে 🤝। অবশ্য একটু অলস বটে 😅, দিনশেষে তো আমারই বন্ধু 🤣, তাই গুরুত্বের উপর নির্ভর করে তারা সাহায্য। বিষয়টা যখন এক্সামের প্রয়োজনীয়তাটা তার আলস্য ছাড়িয়ে। আমি গুগল করতেছি, বন্ধুদের দেওয়া সলিউশনের প্রসেস দেখতেছি। ওই দিকে আমার বন্ধু সব প্রশ্নের সমাধান বের করে ফেলেছে 🤩, দেরিটা শুধু বক্সে আবদ্ধ করে হাওয়ায় বার্তা পাঠানোর। এই কষ্টটাও আমার তুলতে হবে না 🥵😇। সে নিজেই করবে 🤝,ভালো কথা, খুবই ভালো কথা, 🤩। সব উত্তর সে সামনে নিয়ে প্রস্তুত 😁। যাতে কোনো ভুল না হয়, গুগল ক্রোম ব্রাউজারে যে গান চলতেছিল, তারপরে যেসব অন্যান্য ট্যাব ওপেন ছিল সেগুলো কেটে শুধুমাত্র এক্সামের ট্যাবে সব মনোযোগ দিতে হবে। কিন্তু আমার সাহায্যকারী বন্ধু আমার এক্সামের ট্যাবটা ও কেটে দিয়েছে 😒🙄🙃।
এতো অবাক হবেন না আমার বন্ধু এমনই, 😒😅🤣। এসব আজগুবি ঘটনা আজকে নতুন না 🌚। সে বরাবরই আমাদের সবাইকে এভাবে সারপ্রাইজ করতে ওস্তাদ 🥴। সে নিজেও জানে না কি ভাবে কি হয়ে যায় 🤷♂️। বিশ্বাস করেন সে যদি এগুলো মাথায় রেখে ভালোমতো কাজ করার চেষ্টা করে তার ফলাফল আরো ভয়াবহ,🌚। কিচ্ছু করার নেই এটাই সে আর এটা মেনে নেওয়ায় আমাদের নিয়তি তার এরকম সহযোগিতার হাতের কাহিনীর অভাব নেই🤣। তার সাহায্য থেকে বাঁচতে পারেননি কেউই 🤷♂️,😛; 🤣🤣🤣। আবার এমনও না সে সব সময় এরকম 🥶🥵। মাঝেমধ্যে হয়ে যায় আর কি 😴, আর যখন হয় ওইটার সাময়সীমা একদমই না হওয়ার মত 🙄। তবে ওই যে বললাম লোক ভালো, তার মত মানুষের জন্য এমন দুই চারটা ঘটনা একদম মাফ।
ইনশাআল্লাহ সামনে আরো শুনতে পারবেন তার এসব কর্মকাণ্ডের আজগুবি ঘটনা। বিশ্বাস করেন যা আশা করতেছেন তেমনটা একদমই হবে না 🤣। তার কর্মকাণ্ড আপনার-আমার মস্তিষ্কের গণ্ডির বাইরে। হ্যাঁ এটাই সে 🙄🤣।
ফাইনাল এক্সামের সময় আমি একবার অটোকেডে ডিজাইন একে তা সেইভ না করেই কেটে দিয়েছিলাম 😄। পরে আর কি করার অর্ধেক উত্তর দিয়েই পরীক্ষা শেষ। আপনার বন্ধু রাফি অনেকটা আমারি মতো। সব-সময় একটা না একটা প্যাচ লাগাইয়া দেই 🤣
ফাইনাল এর যন্ত্রণাটা অনেক বেশি 😢। তাও আবার আপনি নিজে ডিজাইন করছেন 😢