মঙ্গলবারের অমঙ্গল : চার প্রহর
একদমই জানিনা কিভাবে ব্যাখ্যা করব, কি, কি আজব সব ঘটনা ঘটে গেছে! একটা দুইটা না হয় বুঝা যায় কিন্তু একদিনে বারবার লাগাতার,😒! এমনটাতো আগে কখনো এক্সপেরিয়েন্স করিনি। বলতে পারি না দোষটা কার ! আমার কপালের, নাকি নিয়তির, কে জানে নাকি কোন বাটারফ্লাই ইফেক্ট হয়ে গেছে?😅😂
ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যা যা ঘটে গেল এইসব কে আমি কি বলে আখ্যায়িত করব? মনে হচ্ছে প্রকৃতি একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে গেছে আমার বিপক্ষে ! কি মজাটাই না নিল ! আমি নিজেও বুঝতেছি না দুঃখ প্রকাশ করব, নাকি হাস্যকর ব্যাপার, নাকি প্রকৃতির উপহাস,🤯! তাহলে আপনারাই আমাকে সাহায্য করুন এটাকে আমি কি নামকরণ করব ~🤝
আগেই বলে নেই আমার খুব সামান্য পরিমাণে ওসিডি আছে😅, আম্মু থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে কিছুটা পেয়েছি আর কি🤫। ঘুম থেকে উঠে যাব ব্যাংকে, ভার্সিটির পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে, আজকে লাস্ট ডেট। তো, পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করতে দেখি ব্যালেন্সে ভৌতিক ভাবে ১২০০০ টাকা বেশি ! রেজিস্ট্রার অফিসে মেইল করলাম ঠিক করে দেওয়ার জন্য, করেও দিছে, কিন্তু এইভাবে বেলা হয়ে গেছে দুইটা, 👀। অবশ্য আমি নিজেই ঘুম থেকে উঠছি বারোটায়,🌚। ব্যাপারনা দুই ঘন্টায় আরামসে টাকা দেওয়া যাবে। বৃষ্টি নিয়ে ও কোনো টেনশন নেই, আমার গুগল ওয়েদার এই সপ্তাহের বৃষ্টিমুখর দিনরাতের ওয়ার্নিং আগাম জানিয়ে দিয়েছে, কিন্তু এটা বলেনি হঠাৎ করে ঝির-ঝির বৃষ্টি মুষলধারে নামবে,🙂। ঝির-ঝির বৃষ্টিতে ছাতা নেওয়ার অভ্যাসটা, আমার নেই বলতে গেলেই চলে, কপাল ভালো আম্মু জোর করে ছাতাটা দিয়ে দিয়েছে,💕। গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই একটা ঝড়ো বাতাস আমাকে হালকা পানি আর বালি দিয়ে বরণ করে নিল,☹️। এই বৃষ্টির মধ্যে বালি কোথা থেকে আসলো এখনো এর রহস্য আমি উন্মোচন করতে পারিনি ! ওই যে বললাম হালকা পরিমাণে ওসিডি আছে, পাগল হয়ে গেছি হাত পা কিভাবে ধুব। সামনেই বাজার ওইখানে এক জায়গা থেকে সুন্দর করে পরিষ্কার বৃষ্টির পানি বের হচ্ছে,🤩। দৌড়ে গেলাম, এই তো ঈদ আমার, আর কোন ঝামেলা নেই, ব্যাংকে যাব, চেক উইথড্র করব, পেমেন্ট কমপ্লিট করে দেবো, বাসায় ফেরার সময় কিছু খাবার কিনে নেব, শেষ,😁।
কিন্তু কে জানতো আমার অজান্তে নিয়তি আমার উপর খিলখিলিয়ে হাসতেছিল,😑। হাত-পা ধুয়ে আমি খুব খুশি, মনের আনন্দে গেলাম ইসলামী ব্যাংকে।
কাউন্টারে দেখি কোন লাইন ও নেই, দেখে তো আরও খুশি। সুন্দর মত চেক টা দিলাম কাউন্টারে, আপু জিজ্ঞেস করল একাউন্ট টা কার? আমি বললাম আব্বুর, আপুর চেহারা দেখে মনে হল তিনি অসন্তুষ্ট,🌚। কিন্তু আমার কি আসে যায়, মনে মনে এটা ভাবতে ভাবতে তিনি জিজ্ঞেস করে বসলেন জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি কই ? আমি খুব বাস্তববাদী, শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করিনা, উনাকে বললাম, যে নাম্বার আছে ওখানে ফোন দিয়ে কথা বলুন। আমার উত্তরে মনে হয় তার অসন্তুষ্টি টা আরো একটু বেড়ে গেল,🌚। তিনি বললেন এসব চলে না। কি মুশকিল, কি করি? হঠাৎ করে মাথায় আসলো, আরে, ফোনে তো আইডি কার্ডের ছবি আছে, ওনাকে দেখিয়ে বললাম এটা হবে না? চোখ বড় বড় করে ছবিটা দেখলেন। একবার ছবি দেখে আরেকবার আমাকে দেখে, কিছুক্ষণ এই রুটিন চলল। আমি ভাবলাম যাক হয়ে গেছে,😇। ওমা তিনিতো রীতিমতো আমার জন্য সারপ্রাইজ এখনো রেখে দিয়েছেন ! বলল ফটোকপি লাগবে, 👀। ওই যে বললাম, আমি বাস্তববাদী শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করিনা, আপুকে বললাম পিছনে আমার এনআইডি কার্ড নাম্বার আর জন্ম তারিখ লিখে দিচ্ছি হবে না? তিনি যে মনে মনে আমাকে গালি দিতে একটু ও দ্বিধাবোদ করেননি এটা আমি নিশ্চিত,🤫। প্রথমত সময় নাই, দ্বিতীয়ত নিচের প্রিন্টিং এর দোকান টা বন্ধ আবার অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হবে সামনে। কি আর করার😶, যেতেই হবে, কাদা আর বৃষ্টি তো আছেই।
ওই যে বললাম আমি বাস্তববাদী, এতক্ষণে বুঝে গেছি ফটোকপি আমাকে আনতেই হবে, এইজন্য অনলাইনে স্ক্যানিংয়ের ব্যাপারটা আর তুলিনি। ভালো কথা ফটোকপি এনে দিলাম, উনি কয়েকটা সিল মেরে আরেকজনের কাছে ওটা পাস করে দিল। উফ বাঁচলাম ! হাতে আরও ঘন্টা খানেক সময় আছে, কিন্তু কে জানত নিয়তির উপহাস মাত্র শুরু,🌚! ঐইযে জুটোপিয়া মুভি টা আছে না, উনাকে দেখে ওই মুভির ক্যাশিয়ারের কথা খুব মনে পড়ছিল। রাগের কথা না হয় নাই বলি, হাসিমুখে ওনার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলাম আর দেখতেছিলাম উনি কি করে। কি জানি বিড়বিড় করে আপুকে বলল। পরে আপু আমাকে চেকের পিছনে দুইটা সাইন করতে বলল। বাসা থেকে আব্বুর একটা আর আমার একটা সাইন করে নিয়ে আসছিলাম, বুঝলাম না যদি দুইটা সাইন লাগতো এতক্ষণ কেন বলেনি,🌚! পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু না বলে, দিয়ে দিলাম। ওমা ওই সুপার মাল্টি রিভার্স ফ্ল্যাশ আঙ্কেল তো দেখি, এখন অন্য কাজে বিজি! একবার ঘড়ি দেখি আরেকবার আঙ্কেলকে দেখি। আপু আমার চেহারাটা পড়ে ফেলছে, আঙ্কেল কে বলল একটু জলদি করেন এটা। কিন্তু কে শোনে কার কথা, তিনি কি আমার জন্য তার স্পিডে পরিবর্তন আনবেন ! কে জানে খোদা কোনো জরিমানা করে বসে নাকি তাকে,😒! অবশেষে টাকাটা উইথড্র করলাম, ভাবতেছিলাম একটা কমপ্লেন করব কিন্তু সেসময়টা আমার নেই।
তাড়াহুড়ো করে রওনা হলাম ঢাকা ব্যাংকের উদ্দেশ্যে। দূরত্ব বড়জোর দুই মিনিট হাঁটার পথ। কিন্তু রাস্তা যখন আমিনবাজারের; আর বাজারের গলি ছাড়া তো উপায় নেই। পুরান ঢাকার রাস্তা কেমন হয় সবারই তো জানা থাকার কথা।
সব রাগ আর হতাশা জেরে ফেলে দিলাম, কিন্তু ওমা নিয়তির এই জায়গায় থামার কোনো ইচ্ছাই ছিল না ! তার অট্টহাসি যেন সে সিন্দুকে ভরে রেখেছে, একটার পর একটা উপহাস আমার জন্য সে বের করতেছে।
অমঙ্গলের অপেক্ষায় (To be continued)
They told me if I killed myself now it would save the lives of countless others.
Saying the longer I wait to kill myself the more people will suffer.
They are reckless and should have shown the proper media what they had before taking me hostage for 5 years. I know there are many in prison that dont deserve to be there because of this. Your stay in prison will not be fun @battleaxe and friends. People are going to want you dead when they find out what you did. I hope you die a slow painful death. You sick mother fuckers.
https://peakd.com/gangstalking/@acousticpulses/electronic-terrorism-and-gaslighting--if-you-downvote-this-post-you-are-part-of-the-problem
Its a terrorist act on American soil while some say its not real or Im a mental case. Many know its real. This is an ignored detrimental to humanity domestic and foreign threat. Ask informed soldiers in the American military what their oath is and tell them about the day you asked me why. Nobody has I guess. Maybe someone told ill informed soldiers they cant protect America from military leaders in control with ill intent. How do we protect locked up soldiers from telling the truth?
আহা রে ! টাকা কি জমা দিতে পেরেছেন?
ভাই ওটা তো বিলাসিতা, কি কি যে হয়ে গেছে বাকি বিষয়গুলো আজকে পোস্ট করব। এখনো বুঝতে পারছিনা কিভাবে এত কিছু এক দিনে একজনের সাথে ঘটে যায় 😐
ওইযে নিয়তি 😃
ভাই তাই বলে এমন 👀।
দ্বিতীয় পোস্ট টা না পরলে আসলে আমি ছাড়া আর কারো পক্ষেই বোঝা কোনমতেই সম্ভব নয় 😅